ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা 2025, প্রেম নিয়ে উক্তি

আধুনিক প্রযুক্তিতে এবং নিরাপত্তার সাথে টাকা লেনদেন করার জন্য এখন সবাই ব্যাংক ব্যবহার করে। কাগজের টাকা সাথে না থাকলেও এখন আপনি সরাসরি যেকোনো সময়ে ব্যাংকের টাকা লেনদেন করতে পারবেন। বাংলাদেশের বিশেষ করে অন্যান্য ব্যাংকের সেই ইসলামী ব্যাংক অনেক জনপ্রিয়। কারণ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এটিএম বুথের মাধ্যমে অথবা মোবাইলের সাহায্যে খুব সহজেই যে কোন জায়গা থেকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।

ঝুঁকিমুক্তভাবে টাকা লেনদেন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আগে হিসাব নম্বর খুলতে হবে। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করেন তারপর কার্ডের আবেদন করলে আপনাকে একটি ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। সে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন সময় এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠাতে পারবেন এবং জমা করতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম এবং যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, নিয়ম, সুবিধা ও চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

আধুনিক প্রযক্তি ব্যবহার করে সকল কিছু এখন হাতের মুঠায়। ইসলামি ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী এটিএম বুথ থেকে ব্যাংক এ রাখা টাকা উত্তলন করতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। এরপর একাউন্ট সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আবেদন করতে হবে। ইসলামী ব্যাংকের কয়েকটি কোয়ালিটির ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায়। দেখে নিন ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে কি কি যোগ্যতা হতে হবে। 

  • প্রথমত চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে।
  • ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে। 
  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • চাকুরীজীবীদের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থাকতে হবে।
  • এবং ব্যবসায়ীদের মাসিক আয় সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থাকতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক খিদমাহ কার্ড

বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের মত ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ কার্ড পাওয়া যায়। একমাত্র বাংলাদেশের সু*দ বিহীন শরিয়াহ সম্পন্ন ইসলামী ব্যাংক টাকা লেনদেন করে থাকে। অনেকেই যাদের ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহজেই মোবাইল সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্যাস বিল, ইউনিটি বিল, কারেন্ট বিল সহ অন্যান্য প্রয়োজনের বিল প্রদান করা যায়।

এবং আপনার একাউন্টের টাকা ব্যাংকে গিয়ে কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়ে উঠাতে হবে না। আপনার যখন মন চায় তখন ইসলামী ব্যাংক এটিএম পুর থেকে টাকা জমা এবং উত্তোলন করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংকের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একাউন্ট করলেই আপনি ক্রেডিট কার্ড পেয়ে যাবেন।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড চার্জ

আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এর সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে কিছু বাৎসরিক চার্জ প্রদান করতে হবে। ক্রেডিট কার্ডের প্রতিবছরে ভিন্ন ভিন্ন চার্জ নির্ধারণ করা হয়। আপনি সিলভার ক্রেডিট কার্ড থেকে শুরু করে গোল্ড ক্রেডিট কার্ড এবং প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতিদিন ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে লেনদেন করতে পারবেন। টাকা উঠাতে পারবেন এটিএম বুথের মাধ্যমে। অনেকেই ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে অনলাইনে জানার চেষ্টা করে। ক্রেডিট কার্ডের কোয়ালিটি অনুযায়ী স্বাস্থ প্রদান করতে হবে।

  1. সিলভার ক্রেডিট কার্ড  প্রতিবছরে ৫০০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হবে।
  2. গোল্ড ক্রেডিট কার্ড প্রতিবছরে ১ হাজার টাকা চার্জ প্রদান করতে  হবে। 
  3. প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড প্রতিবছরে ১৫০০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হবে।
  4. আপনি যদি চার্জ ফ্রি দিতে বিলম্ব করেন তাহলে প্রত্যেকটা  ক্রেডিট কার্ডের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা সহ প্রদান করতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন

আপনার ইসলামী ব্যাংকে যদি একাউন্ট থাকে তাহলে সুযোগ সুবিধা গুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। অনেকে রয়েছেন কিভাবে আবেদন করে তথ্য জানেন না। প্রথমত আপনার নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক ব্রাঞ্চে যেতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে।

  • আপনার ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • প্রতিমাসে আয়ের প্রমাণপত্র।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স।
  • ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
  • গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • এ তথ্যগুলো অনুসারে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড প্রদান করবে।

ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সবিধা

আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অনেকগুলো সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আপনার নির্দিষ্ট লিমিট অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ড দিয়ে যখন ইচ্ছা খরচ করতে পারবেন। যেকোনো ধরনের বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এবং ঢাকায় অনেকগুলো শপিং মলে ক্রেডিট কার্ড দ্বারা বিল পরিশোধ করলে ক্যাশব্যাক সহ আরো অন্যান্য অফার পাওয়া যায়। এ ধরনের সুযোগ সুবিধা গুলো উপভোগ করতে পারবেন। এবং আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট করেন তাহলে কোন রকমের চার্জ ছাড়াই সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

চাকরীজিবীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ইসলামী ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে চাকরিজীবী জন্য আলাদা কাগজপত্র প্রদান করতে হবে। অনেকেই রয়েছেন কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় এ তথ্যগুলো জানেনা। তখন ব্যাংকের কি আমাদের হয়রানি হতে হয়। আপনি আমাদের দেওয়া এই কাগজপত্র গুলো দেখে সহজেই এগুলো এই কাগজপত্র জমা দিয়ে ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন।

  • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
  • ২ কপি পাসপোট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
  • আপনার অফিসের চাকরির আইডি কার্ড এর কপি।
  • বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
  • ক্লিন সি আই ভি রিপোর্ট।
  • গত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • নমিনির ছবি এবং এনআইডি কার্ডের ফটোকপি।

ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করতে গেলে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কারণ অ্যাকাউন্টের ধরন অনুযায়ী কাগজপত্র ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনি যদি বড় ধরনের ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট করার সময় অবশ্যই আপনাকে কাগজপত্রগুলো প্রদান করতে হবে। কারণ সম্পূর্ণ যাচাই-বাছাই করে আপনার ইসলামী ব্যাংকের হিসাব খোলা হবে। দেখে নিন ব্যবসায়ীদের ক্রেডিট কার্ডের জন্য কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

  • সর্বশেষ নবায়নকৃত বৈধ ট্রেড লাইসেন্স এর কপি।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স / পাসপোর্ট অথবা এন আই ডি কার্ডের ফটোকপি।
  • আপটুডেট টিআইএন সার্টিফিকেট।
  •  বিজনেজ কার্ড।
  •  ক্লিন সি আই ভি রিপোর্ট।
  • হোল্ডিং ট্যাক্স ।
  • এবং গ্যাস বিল অথবা বিদ্যুৎ বিলের কপি।

শেষ কথা

আপনারা যারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার জন্য আমি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু কোন উপায়ে এবং ক্রেডিট কার্ডটিতে কি কি যোগ্যতা লাগে এই তথ্যগুলো জানেন না। অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা এবং বাৎসরিক কত টাকা চার্জ কাটে এই তথ্যগুলো খুঁজতেছিলেন। ইতিমধ্যেই আমরা এই পোস্টটার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানিয়েছি। আশা করি আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ইসলামী ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, নিয়ম ও চার্জ কত কাটবে এই তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Scroll to Top