কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি ২০২৫, প্রেরণামূলক উক্তি

বাংলাদেশের অনেক মানুষের স্বপ্ন রয়েছে কানাডা যাওয়ার। কানাডা হলো উত্তর আমেরিকার উত্তর অংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এই দেশটিকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র বলা হয়। অনেকে আছে ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে অথবা কাজ করার জন্য কানাডায় পাড়ি দিতে চাচ্ছে। কিন্তু কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে কোন তথ্য জানে না। এখন আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কানাডা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করবো। আপনি আমাদের এই লেখাটির মাধ্যমে কানাডার ভিসার ক্যাটাগরি সহ কানাডা সম্পর্কে আরও বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। 

কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি

অনেকগুলো কানাডা ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে। আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে যেতে হলে কোন এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ অনেকটাই বেশি পড়বে। এবং আপনার যদি কোন নিকট আত্মীয় কানাডায় থাকে আপনি যদি তার কাছ থেকে ভিসা নেন তাহলে অনেক কম খরচেই আপনার পছন্দের কানাডার ভিসা নিতে পারবেন। এখন আপনাদেরকে কানাডার ভিসার ক্যাটাগরির নাম উল্লেখ কররো। আপনারা এই পোস্ট পড়ে কানাডার সবগুলো ভিসা ক্যাটাগরি জানতে পারবেন। 

  1. জব ভিসা। 
  2. স্টুডেন্ট ভিসা। 
  3. শ্রমিক ভিসা। 
  4. কৃষি ভিসা। 
  5. টুরিস্ট ভিসা। 
  6. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। 
  7. লেবার ভিসা। 
  8. ফ্রি ভিসা। 
  9. মেকানিক্যাল ভিসা। 
  10. ড্রাইভিং ভিসা। 
  11. ইমিগ্রেশন ভিসা। 
  12. বিজনেস ভিসা। 
  13. চিকিৎসা ভিসা।

কানাডা জব ক্যাটাগরি

বাংলাদেশের অনেক মানুষ তারা কানাডায় জব করার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে। কিন্তু কানাডায় জব করতে হলে জব করার ক্যাটাগরি রয়েছে। প্রথমে আপনাকে সেই ক্যাটাগরি জানতে হবে। কানাডা জবের ক্যাটাগরি হিসেবে বেতন কমবেশি হয়ে থাকে। আপনি যদি ভালো ক্যাটাগরিতে জব করতে চান তাহলে আপনি অনেক বেশি টাকা বেতন পাবেন। এখন আপনাদেরকে কানাডার ৪ টি জব ক্যাটাগরির সম্পর্কে জানাবো। কানাডায় জব কে A, B, C, D এই চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিয়েছে। 

  • ক্যাটাগরি A তে জব করতে চাইলে তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ উচ্চতার ডিগ্রির সনদপত্রের প্রদান করতে হবে। 
  • ক্যাটাগরি B তে চাকরি করতে চাইলে তাহলে আপনার উচ্চতার ডিগ্রীর পাশাপাশি যে কাজে যাবেন সেই কাজের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে। 
  • ক্যাটাগরি C তে চাকরি করতে চাইলে আপনাকে মাধ্যমিক পর্যায়ের সনদপত্র প্রদান করলেই হবে।। 
  • ক্যাটাগরি D তে চাকরি করতে চাইলে সে কাজের একটু অভিজ্ঞতা থাকলেই ছোট কোন পোস্টে চাকরি করতে পারবেন।

কানাডা শ্রমিক ভিসা

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শ্রমিক রয়েছে তারা কানাডায় শ্রমিক ভিসার আবেদন করার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু তারা শ্রমিক ভিসার বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে কিছু জানেনা। শ্রমিক ভিসা খরচ কত হতে পারে সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাদের।  আপনি যদি সরকারি ভাবে কানাডার শ্রমিক ভিসা পান তাহলে আপনার ৪ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যেই কানাডার শ্রমিক ভিসা করতে পারবেন। এবং আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন এজেন্সির মাধ্যমে কানাডা শ্রমিক ভিসা করতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৮ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা। এবং শ্রমিক ভিসার বেতন হয়ে থাকে ৩৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

কানাডা কৃষি ভিসা

এখন আপনাদেরকে কানাডার কৃষি ভিসা সম্পর্কে জানাবো। কানাডায় কৃষি কাজের জন্য অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছরে এই কানাডা থেকে কৃষি কাজের জন্য বিভিন্ন লোক নিয়ে থাকে। সরকারিভাবে কানাডার কৃষি ভিসা পাওয়া যায়। আপনার যদি কৃষি কাজের কোন অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই কানাডার কৃষি কাজে যেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যেতে হলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা। এই  ৭ লক্ষ টাকা বাজেট রাখলে আপনি কানাডার কৃষি ভিসা করতে পারবেন। কানাডায় কৃষি কাজে গেলে আপনি অনেক ভালো টাকায় বেতন পাবেন।  অনেক মানুষ আছে কানাডায় কৃষি কাজ করে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে। আবার কিছু মানুষ আছে তারা ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পায়।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তারা উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার জন্য কানাডা যাওয়ার স্টুডেন্ট ভিসা করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ আছে তারা স্টুডেন্ট ভিসা করে কানাডায় যাচ্ছে। কিন্তু স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত হবে সে সম্পর্কে কোন জানা নেই তাদের। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা করতে চান তাহলে আপনার মোট খরচ হবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। এই ৪ লক্ষ টাকা বাজেট রাখলেই আপনি কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা করতে পারবেন।

কানাডা টুরিস্ট ভিসা

ভ্রমণ করা মানুষের একটি শখ। কিন্তু অনেক মানুষেরই ইচ্ছা রয়েছে তারা বাইরের দেশের ভ্রমণ করতে যাবে। এখন আপনাদেরকে যারা কানাডায় ভ্রমণ করতে যাবেন তাদের উদ্দেশ্যে কানাডা টুরিস্ট ভিসার খরচ সম্পর্কে জানাবো। কানাডা দেশটি ভ্রমণ করার জন্য অনেকটাই উপযোগী। আপনি যদি কানাডায় টুরিস্ট ভিসা করতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৪ লক্ষ টাকা। আপনি এটা কার মধ্যে একটি টুরিস্ট ভিসা করতে পারবেন।

কানাডা ভিসা আবেদন ফরম ২০২৫

কানাডায় ভিসা আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে ফরম পূরণ করতে হবে। অনেকে জানে না কিভাবে এবং কোথা থেকে ফরম সংগ্রহ করতে হয়। আপনার প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে ফরম সংগ্রহ করতে হবে। প্রথমে আপনি গুগলে কানাডার ভিসা আবেদন ফরম লিখে সার্চ করলেই আপনি তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই আপনি ভিসা আবেদন করার ফরম দেখতে পাবেন। সেই ফর্মে আপনি সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে সাবমিট করলেই আপনার আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

কানাডা ভিসা প্রসেসিং

আমরা অনেকে আছি ভিসা করতে দিলে অনেকটাই দেরি করে। এজেন্সি মাধ্যমে ভিসা করলে তখন তারা যা বলে তাই শুনতে হয়। যারা কানাডার ভিসা করে তারা সঠিক তথ্য টা জানতে চান আসলে ভিসা প্রসেসিং হতে কত দিন সময় লাগে। কানাডা ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা প্রসেসিং হয়। তাহলে জেনে নিন কোন ভিসায় কতদিন  প্রসেসিং হতে সময় লাগে। 

ভিসার নাম  প্রসেসিং এর সময়
ভিজিটর ভিসা  ২২ দিন থেকে ২৫ দিন
স্টুডেন্ট ভিসা  ৪৯ দিন থেকে ৫২ দিন
কাজের ভিসা  ৬৩ দিন থেকে ৬৫ দিন
অন্যান্য ভিসা জন্য  আরো বেশি দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে 

কানাডার ভিসা কত প্রকার ও কি কি

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে কানাডার ভিসা আসলেই কত প্রকার এবং এবং কোন কোন ভিসা সেগুলো জানার দরকার পড়ে। মূলত কানাডার ভিসা ৫ প্রকার। সবাই কানাডা যাওয়ার জন্য এই ৫ টা ভিসা বেশি করে থাকে। যেমনঃ 

  1. স্টুডেন্ট ভিসা। 
  2. টুরিস্ট ভিসা। 
  3. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। 
  4. স্থায়ী বাসিন্দা ভিসা। 
  5. টেম্পোরারি ভিসা

শেষ কথা

আপনারা অনেকেই আছেন কানাডা যেতে চাচ্ছেন কিন্তু কানাডা যাওয়ার বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানেন না। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কানাডা ভিসা ক্যাটাগরি ২০২৫ এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যেই আপনি আমাদের পোস্টটি পড়ে কানাডার ভিসার ক্যাটাগরি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি, আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোষ্ট পড়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে। প্রতিনিয়ত আমরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে থাকি। এই রকম আরো অনেক তথ্য জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Scroll to Top