কবিতা ক্যাপশন | bangla poem caption – প্রেমের, কষ্টের, ভালোবাসা ও প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন, ভালোবাসার ছন্দ কষ্টের

জীবনের জটিলতাকে সরল করে ব্যাখ্যা করতে কবিতা ক্যাপশন এর জুড়ি মেলা ভার। কবিতা মানুষের শিরায় উপশিরায় প্রবাহিক হয়, তাইতো প্রেম, আবেগ, অনুযোগ, রাগ ও অনুরাগ সব কিছুই প্রকাশের জন্য আমরা কবিতার আশ্রয় নেই। 

আপনিও যদি একজন কবিতা প্রেমী মানুষ হন, তাহলে আজকের এই কবিতা ক্যাপশন লেখাটি আপনার জন্য। এই লেখায় পাবেন কবিতা ক্যাপশন বাংলা কিংবা bangla poem caption; শুধু তাই নয় রয়েছে বিখ্যাত কবিতা ক্যাপশন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের, ও কবিতা ক্যাপশন কষ্টের। 

কবিতা ক্যাপশন বাংলা জীবনানন্দ দাশ এর তো তুলনায় হয়না, আর তার সাথে জমিয়ে দিবে এই ভালোবাসার কবিতা ক্যাপশন বাংলা গুলি। আবার যারা সবুজকে পাহাড়কে ভালোবাসেন তাদের জন্য রইল এই প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন গুলি। শুধু তাই নয় এখানে আছে বিখ্যাত কবিতা ক্যাপশন, প্রেমের কবিতা ক্যাপশন ও ফেসবুকে ছবির ক্যাপশন কবিতা। 

তাই আর দেরি কেন, আপনার ছবিকে পূর্ণতা দিন এই কবিতা ক্যাপশন গুলির মাধ্যমে। 

কবিতা ক্যাপশন

মনের চরম অনুভূতির সরল বহিঃপ্রকাশ হোক এই কবিতা ক্যাপশন গুলির মাধ্যমে। মনের সব কথাকে মুক্তি দিন আপনার প্রিয় ছবির সাথে পোস্ট করে। 

 

তোমার ঠোঁটের গোপন ভাষা,

আমার হৃদয়ে জ্বালায় আগুন।

তুমি কাছে এলে সময় থেমে যায়,

ভালোবাসা তখন ভরা ফাগুন।

 

কবিতা ক্যাপশন

 

 

তোর হাসিতে মোর মন মিশে যায়,

চোখের মায়ায় রাত ভেসে যায়।

দূরে থেকেও যেন কাছে,

তুই থাকিস, শুধু থাকিস পাশে।

 

হাতটা ধরতে চাই বারবার,

মনের কথা বলি চুপিচুপি।

চাঁদের আলো যেন শোনে,

আমাদের এই ভালোবাসার অভিরুপী।

 

শোনো হে কাজল-চোখের মাইয়া,

দিন গেলো মোর, হুঁশ হারাইয়া,

তোমার চোখে চাইয়া।

 

চোখে চোখ রাখলেই হায়!

বুকটা যেন জ্বলে যায়।

হাওয়ার ছোঁয়ায় মনে পড়ে,

তুই পাশে আছিস সারাক্ষণ তাই।

 

 হঠাৎ বৃষ্টি, হঠাৎ ধোঁয়া,

মনে পড়ে তোমার কথা,

তোমার জন্য এই মানুষটা,

সব সময় করে থাকে অপেক্ষা।

 

তোর নাম শুনলেই অন্তরে বাজে গান,

মনে হয় সব ঠিক আছে মেরি জান।

তুই মিলে গেলে জীবনের সাথে,

সব রোদ, সব বৃষ্টি হয় মধুর হাসি মান।

 

তোমার ঠোঁটে ঠোঁট রাখলে

আমার বুকের ভেতর আগুন জ্বলে ওঠে।

চুম্বনের ভেতর আমি খুঁজে পাই

শত শত জন্মের ক্ষুধা।

 

তুমি যদি আকাশ হও, আমি হব মেঘ। 

তোমার প্রতিটি ছোঁয়ায় আমি ঝরে পড়ব অনন্ত বৃষ্টির মতো, 

তোমার জীবনে ভালোবাসার অমৃত নিয়ে।

 

কবিতা ক্যাপশন বাংলা

বন্ধুরা! কবিতা ক্যাপশন বাংলা নিয়ে আর চিন্তা না। তোমাদের জন্য নিয়ে হাজির হয়েছি সেরা রোমান্টিক প্রেমের কবিতার এক বিশাল সংগ্রহ নিয়ে। 

 

তুই কেন তাকাস?

কেন আঁকাস, বুকের ভিতর যেন আকাশ?

কাজল চোখের মাইয়া,

তুই তাকালে থমকে যায়

আমার বুকের বাঁ পাশ।

 

কবিতা ক্যাপশন

 

আমরা চাইলে আড়াল করতে পারি না—

কাম আর ভালোবাসা আমাদের রক্তে মিশে আছে।

তুমি আর আমি,

দুই শরীরের ভেতরে একটাই সত্য:

অপরিসীম ক্ষুধা, আর নিঃশর্ত প্রেম।

 

কত অচেনারে চিনতে দিলে,

কতরে দিলে বসার ঠাঁই,

দূরকে করলে একেবারে আপন,

পরকে করলে আপনাই।

 

শোনো হে সোনার মাইয়া,

তোমার হাসিতে কঁপে মন,

দূরে থাকলেও মনে লাগে,

তুমি পাশে, খুব কাছে যান।

 

যখন নৃত্যে ওঠে ঝড়,

তালে তালে কাঁপে ঘর,

ভয় সরে যায়, লজ্জা হারায়

অচেনা বাসনায়।

 

কত ভোরে, কত সন্ধেতে

তোমার পায়ের শব্দ শোনা যায়,

লুকিয়ে যেন দূত পাঠাও

সে ডেকে নিয়ে যায় আমায়।

 

আমি চাই না লজ্জার পর্দা,

চাই শুধু তোমার গভীর স্পর্শ।

তোমার তীব্র নিঃশ্বাসে

আমার শরীর লিখে ফেলে নগ্ন কবিতা।

 

সেই অগ্নিশিখা মূর্তিতে

মোরে ডাকে প্রেম নিমন্ত্রণে,

ক্ষুদ্র আশার ক্ষুদ্র স্বপন

ডুবে যায় অন্ধকারে।

 

রোদ্দুরে ভেজা পথ ধরে,

তোমার হাসি মোর চোখে ভেসে,

দূরে থাকলেও মনে আসে,

তুমি আছো ঠিক …এখানে মিসে।

 

বিখ্যাত কবিতা ক্যাপশন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের

আমাদের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কবিতা ক্যাপশন আকারে দিতে চাইলে, নিচের পংক্তিগুলি তোমার জন্য। দেখে যাও বেচে নাও বাছাই করা কবিতাগুলি। 

 

জানি আমার কঠিন হৃদয়

চরণ রাখার যোগ্য সে নয় –

সখা, তোমার হাওয়া লাগলে হিয়ায়

তবু কি প্রাণ গলবে না।

অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

কবিতা ক্যাপশন

 

আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু,

নয় তো হীনবল –

শুধু কি এ ব্যাকুল হয়ে

ফেলবে অশ্রুজল।

আমার এ প্রেম নয়তো ভীরু—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

“তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি

শত রূপে শত বার

জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার।”

অনন্ত প্রেম—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দের

লেশমাত্র ভাগ,

আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,

আজিকার কোনো রক্তরাগ! 

১৪০০ সাল—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দোষ!

বৃথা কর আস্ফালন, বৃথা কর রোষ।

যারা শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ,

কেহ কভু তাহাদের করে নি সম্মান।

অভিমান—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

ভাবি যখন ভেবে না পাই তবে

দেবার মতো কী আছে এই ভবে।

কোন্ খনিতে কোন্ ধনভান্ডারে,

সাগর-তলে কিম্বা সাগর-পারে,

যক্ষরাজের লক্ষমণির হারে

যা আছে তা কিছুই তো নয় প্রিয়ে!

দান—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

হাতে তুলে দাও আকাশের চাঁদ —

এই হল তার বুলি।

দিবস রজনী যেতেছে বহিয়া,

কাঁদে সে দু হাত তুলি।

আকাশের চাঁদ—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

আমার হৃদয়ভূমি-মাঝখানে

জাগিয়া রয়েছে নিতি

অচল ধবল শৈল-সমান

একটি অচল স্মৃতি।

আচল স্মৃতি—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

আমার হৃদয় প্রাণ

সকলই করেছি দান,

কেবল শরমখানি রেখেছি।

চাহিয়া নিজের পানে

নিশিদিন সাবধানে

সযতনে আপনারে ঢেকেছি।

লজ্জা—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,

কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।

মেঘলাদিনে দেখেছিলেম মাঠে

কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।

ঘোমটা মাথায় ছিলনা তার মোটে,

মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে।

কৃষ্ণকলি—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

স্তব্ধ হল দশ দিক নত করি আঁখি

বন্ধ করি দিল গান যত ছিল পাখি।

শান্ত হয়ে গেল বায়ু, জলকলস্বর

মুহূর্তে থামিয়া গেল, বনের মর্মর

প্রথম চুম্বন—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

অন্তর মম বিকশিত করো

অন্তরতর হে।

নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,

সুন্দর কর হে।

জাগ্রত করো, উদ্যত করো,

নির্ভয় করো হে।

অন্তর মম বিকশিত করো—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

কবিতা ক্যাপশন কষ্টের 

প্রেম মানেই অসীম সুখের বন্যা না, কখনও কখনও প্রেম মানে কান্না। সেই বিরহে বিরান বুকের মানুষের জন্য রইল এই কবিতা ক্যাপশন গুলি। 

 

তুই চলে গেলে হঠাৎ,

বাতাসেও যেন খোঁজ নেই।

মনে মনে ভাবি বারবার,

তুই কি সেই মানুষটাই?

 

কবিতা ক্যাপশন

 

 

চোখে চোখ রাখি, তবুও দূরে,

মনের কথা বোঝে না কেউ।

হৃদয়ের ভাঙা অংশে বাজে শুধু,

তোর দেওয়া বেদনার ঢেউ।

 

হাতটা চাইলেই হাতে নেই,

শুধু স্মৃতির ঢেউয়ে ভেসে যাই।

কতবার বলেছি, “চলো ফিরে যাই”,

কিন্তু সময়ের দেয়াল হয়ে গেছে নাই।

 

তোর হাসি আজও মনে পড়ে,

কিন্তু পাশে নেই কেউ শোনার জন্য।

আক্ষেপ নিয়ে বুকটা চেপে ধরে,

এই কষ্টের রাত কাটাই অঝোরে।

 

চুপ করে বসে থাকি একা,

মনে শুধু তোর নাম।

চেষ্টা করি ভুলতে,

কিন্তু স্মৃতি করে বদনাম।

 

তুই চলে গেলি, সব খোয়া গেল,

হাসি, কথা, সব স্মৃতি ফিকে।

আবেশে ভরা রাতগুলো কাঁদে,

কেন ভুলে গেলি আমাকে?

 

হৃদয় ভেঙে যায় চুপচাপ,

তোর কথা মনে পড়ে বারবার।

আক্ষেপে ছেঁড়া মনটা বলে,

যদি ফিরে যেতেই পারতাম সেই পথ ধরে।

 

তোর চোখে চোখ রাখার ইচ্ছে,

বুকটা পুড়ে যায় নিঃশব্দে।

কতবার বলেছি, “চলো ফিরে যাই”,

কিন্তু সময় হেসে যায়।

 

শুধু তোমার ছায়াএর সঙ্গে আছি,

তোমার হাসি আর নেই কাছে।

বুকটা চেপে ধরে আফসোস,

এই কষ্টের রাত শেষ কবে, কোন মাসে।

কবিতা ক্যাপশন বাংলা জীবনানন্দ দাশ

জীবনানন্দ দাশের কবিতাগুলি রোমান্টিক কবিতা প্রেমী মানুষের জন্য স্বর্ণের খনির মত। যেকোন ছবির সাথে পোস্ট করলেই হিট। তাইতো আজকে তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম এই কবিতা ক্যাপশন বাংলা জীবনানন্দ দাশ গুলিঃ 

 

আজ এই বিস্ময়ের রাতে

তাহাদের প্রেমের সময় আসিয়াছে;

তাহাদের হৃদয়ের বোন

বনের আড়াল থেকে তাহাদের ডাকিতেছে জ্যোৎস্নায়—

পিপাসার সান্ত্বনায়—আঘ্রাণে—আস্বাদে;

ক্যাম্পে –  জীবনানন্দ দাশ 

 

কবিতা ক্যাপশন

 

 

হলুদ পাতার ভিড়ে ব’সে,

শিশিরে পালক ঘ’ষে-ঘ’ষে,

পাখার ছায়ায় শাখা ঢেকে,

ঘুম আর ঘুমন্তের ছবি দেখে-দেখে

মেঠো চাঁদ আর মেঠো তারাদের সাথে

জাগে এক অঘ্রাণের রাতে

সেই পাখি;

পেঁচা –  জীবনানন্দ দাশ 

 

পঁচিশ বছর পরে

শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে—

বলিলাম—‘একদিন এমন সময়

আবার আসিও তুমি—আসিবার ইচ্ছা যদি হয়—

পঁচিশ বছর  –  জীবনানন্দ দাশ 

 

 

আলো–অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতরে

স্বপ্ন নয়, কোন্ এক বোধ কাজ করে;

স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—ভালোবাসা নয়,

হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্মে।

— “বোধ“, জীবনানন্দ দাশ 

 

স্থান থেকে স্থানচ্যুত হয়ে চিহ্ন ছেড়ে অন্য চিহ্নে গিয়ে

ঘড়ির কাঁটার থেকে সময়ের স্নায়ুর স্পন্দন খসিয়ে বিমুক্ত করে,

দেখা যায় অবিরল শাদা কালো সময়ের ফাঁকে

সৈকত কেবলই দূর সৈকতে ফুরায়।

— “স্থান থেকে”, জীবনানন্দ দাশ 

 

 একবার নক্ষত্রের পানে” (উত্তরপ্রবেশ থেকে)

একবার নক্ষত্রের পানে চেয়ে—একবার বেদনার পানে,

অনেক ঐশ্বর্য ঢেলে যায় যুবকের দল।

পৃথিবীর পথে-পথে সুন্দরীরা মূর্খ সসম্মানে শুনিল আধেক কথা—ইহাদেরি কানে।

— “উত্তরপ্রবেশ“, জীবনানন্দ দাশ 

 

“তবু তোমাকে ভালোবেসে

মুহূর্তের মধ্যে ফিরে এসে

বুঝেছি অকূলে জেগে রয়

ঘড়ির সময়ে আর মহাকালে—

যেখানেই রাখি এ হৃদয়।”

— জীবনানন্দ দাশ 

 

 

ভালোবাসার কবিতা ক্যাপশন বাংলা

ভালোবাসা এক অনন্ত সত্যি, জার মুখমুখি আমাদের হতেই হয় – সেই ভালোবাসার অনুভুতিগুলি হয়ে থাকে অদ্ভুত;  প্রকাশের ভাষা খুজে পাই না! তাদের জন্য রইল এই ভালোবাসার কবিতা ক্যাপশন বাংলা গুলি; 

 

যেখানে তোমার চোখের জলে নদী বয়ে চলে,

 সেখানে আমার স্বপ্নগুলো নৌকার মতো ভেসে যায়।

 

কবিতা ক্যাপশন

 

তুমি আমার জীবনের কাব্য,

 এক অনন্য, রহস্যময় নীলিমার ছোঁয়া।

 

তুমি কাছে এলে পৃথিবী ছোট হয়ে যায়,

থাকে শুধু দেহের অনন্ত আকাঙ্ক্ষা।

তোমার কামনা আমার কামনায় মিশে

জ্বালিয়ে তোলে এক অগ্নিকুণ্ড।

 

তোমার স্পর্শে,

 তোমার লাজুক হাসিতে,

 প্রিয়, আমি অসীমভাবে ভালোবাসি।

 

আমি কোথায় পাবো তাকে… 

আমার মনের সেই মানুষটিকে!

 

তুমি আমার জীবনের কাব্য,

অপরূপ, রহস্যময় নীলিমার মতো।

তোমার হাসিতে হারাই আমি সময়,

তোমার স্পর্শে হারাই নিজেকে।

 

প্রতিটি ছোঁয়া, প্রতিটি নিঃশ্বাস

অবিরাম ঢেউয়ের মতো ভেঙে পড়ে বুকে।

তুমি আমার চিরন্তন রাতের জ্যোৎস্না,

যেখানে আকাঙ্ক্ষা আর প্রেম মিশে যায় এক স্রোতে।

 

প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন

প্রকৃতি ভালবাসেনা এমন মানুস প্রকৃতিতে নাই! আর তাই আমারা সময় পেলেই জঙ্গলে, পাহারে কিংবা বনে বাঁদরে ঘুরতে যাই। আর অনেক ছবি তুলি — ছবিগুলি পোস্ট করতে নিইয়ে এসেছি এই প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন গুলিঃ 

 

সূর্যের আলোয় ভিজে থাকা ভোর—

প্রকৃতিই শেখায়, প্রতিদিন নতুন সম্ভাবনা তোর। 

 

 

 

বৃষ্টি শুধু মাটি ভিজিয়ে দেয় না,

ভিজিয়ে দেয় মানুষের অন্তরও।

 

নদী শেখায়—

গন্তব্য নয়, চলার পথই আসল।

 

পাহাড় দাঁড়িয়ে থাকে নীরবে,

তবু তার নীরবতা ভরে তোলে আকাশ।

 

ফুলের সৌন্দর্য তার ক্ষণস্থায়ীতেই—

জীবনও তেমনি ক্ষণিকের, তবু চিরন্তন মনে হয়।

 

ঝরাপাতা বলে—

শেষ মানেই অবসান নয়,

শেষ মানেই নতুন ঋতুর শুরু।

 

প্রকৃতির ভেতরে লুকিয়ে আছে

আমাদের প্রিয় নির্মল কবিতা।

 

তুমি বৃষ্টির মতো—

ঝরে পড়লেই আমি ভিজে উঠি,

অভিমান গলে যায়, প্রেম বাড়ে আরও।

 

চাঁদ যেমন রাতকে পূর্ণ করে,

তুমি তেমনি আমার অসম্পূর্ণতায় আলো জ্বালাও।

 

পাহাড়ের মতো স্থির থেকেও

ভেতরে আগুন জ্বলে,

তুমি পাশে এলে সেই আগুন প্রেমে রূপ নেয়।

 

ফুল ঝরে গেলেও গন্ধ থেকে যায়,

তেমনি তোমার ছোঁয়া হারালেও

হৃদয়ে থেকে যায় স্পর্শের স্মৃতি।

 

সমুদ্রের ঢেউ থামানো যায় না,

তেমনি তোমার প্রতি আমার আকাঙ্ক্ষাও—

বারবার ভেঙে পড়ে তোমার বুকে।

 

রোদে পুড়েও মাটি যেমন ফসল দেয়,

তেমনি তোমার ভালোবাসায় আমি শিখি—

কষ্টের ভেতর থেকেও জন্ম নিতে পারে সৌন্দর্য।

 

তুমি যদি আকাশ হও, আমি হবো বাতাস—

তোমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলবো অবিরত,

অদৃশ্য থেকেও অনুভূত হবো সবখানে।

বিখ্যাত কবিতা ক্যাপশন

যুগে যুগে বিখ্যাত সব কবিতা ক্যাপশন দিয়ে গেছেন বিখ্যাত মানুষেরা। আপনাদের ফেসবুক পোস্টের সৌন্দর্য বাড়াতে আপনাদের জন্য কিছু শেয়ার করা হল। 

 

আমি তোমায় খুঁজে ফিরি,

যার ভালোবাসায় পৃথিবী হয়ে ওঠে স্বর্গ।

যেখানে রুমি-র মতো অন্তরের আবেগ,

শেলি-র মতো উদ্দীপ্ত প্রাণ,

শেক্সপিয়ার-র মতো নাটকীয় প্রেম,

এবং বাইরন-এর মতো তীব্র যাতনা।

 

কবিতা ক্যাপশন

 

 

তুমি আমি আলাদা নই—

তুমি আমার ভেতরের আমি।

 

তোমার প্রেমই হলো আলো,

যা আঁধার ভেদ করে জ্বলে ওঠে।

 

তুমি রহস্য, তুমি আগুন,

তুমি ব্যথার ভেতরে লুকানো সৌন্দর্য।

 

ভালোবাসা যদি এক সুর হয়—

তবে তুমি তার চিরন্তন গান।

যদি প্রেম হয় আলো—

তবে তুমি সেই আলো, যা আমার আঁধার ভেদ করে।

 

এই পৃথিবীতে কিছুই একা নয়;

ঈশ্বর-বাঁধনে সব মিলনের চাওয়া;

কেন আমাদের ভালোবাসা হবে আলাদা?

 

তোমার চোখের নেশায় আমি হারাই,

তোমার ছোঁয়ায় জ্বলে ওঠে নিভু প্রদীপের শিখা।

 

রাত গভীর হলে তোমার নিঃশ্বাসই আমার কবিতা,

তোমার নীরবতায় আমি খুঁজে পাই সবচেয়ে বড় সঙ্গীত।

প্রেমের কবিতা ক্যাপশন

প্রেম মানেই রোমাঞ্চে ভরপুর শত শত মুহূর্তের সমষ্টি। প্রেমে পড়বেন আর মনের মানুষকে নিয়ে ফেসবুক এ পোস্ট করবেন না, সেটা তো আর হবে না। তাইতো আপনার জন্য রইল এই প্রেমের কবিতা ক্যাপশন গুলি: 

 

তুমি রহস্য, তুমি আগুন,

তুমি ব্যথার ভেতরে জন্ম নেয়া সৌন্দর্য।

আমি খুঁজে ফিরি সেই মানুষটিকে—

যার ভালোবাসায় পৃথিবী হয় স্বর্গ।

 

কবিতা ক্যাপশন

 

ঝরণা মিশে যায় নদির সাথে,

নদী গড়ায় মিলনে মহাসাগরের পথে।

স্বর্গের বাতাস মিশে থাকে চির—

নরম প্রেমে, স্নিগ্ধ অনুভূতিতে।

 

তোমার ঠোঁটের ভেতর ডুবে গেলে

আমার দেহের প্রতিটি কোষ জেগে ওঠে—

চুম্বনের ভেতরে হারিয়ে যায় সভ্যতা, ধর্ম, লজ্জা।

 

কি হল?

কখন, কিভাবে কেন?

আর কোন উত্তর খুঁজি না..!

যা হয়েছে – তাই বেশ ভালো। 

 

উম্মাদ প্রেম আমার বাধ্য হয়েছে,

তোমার নরম স্পর্শে…!

তুমি আমার … একান্তই

চরমে শরমে হর্ষে।

 

তারপর …. কি হবে আর!

কবিতা লিখব হাজার খানেক

তুমি হবে তার, কেউ নাই আর

যবে ছিনু এক। 

 

কোন এক বসন্তের সন্ধ্যায়…!

খুঁজিয়া পেয়েছি তোমায়। 

নবীন প্রেমের আবাগে

খুশি ধরিয়া ছিল … আমায়। 

 

ফেসবুকে ছবির ক্যাপশন কবিতা

আজকাল সবাই ফেসবুক এ পোস্ট করে, কিন্তু সবার পোস্ট কি আর মনে ধরে। কিন্তু একবার 

 

তোমার গভীর স্পর্শে

আমার হরমোন পাগল হয়ে ওঠে,

রক্তের ভেতর কামড়ে ধরে আগুন,

কেউ দেখুক বা না দেখুক—

আমরা তবুও একে অপরের ভেতর ডুবে যাই।

 

কবিতা ক্যাপশন

 

আমার বুকের ভেতরকার তীব্র ঢেউ

তুমি হাত রাখলেই সমুদ্র হয়ে ওঠে,

তোমার নিঃশ্বাসে আমার শরীর

লিখে ফেলে হাজারো অপ্রকাশিত কবিতা।

 


তুই বললি— আমিই তোর পৃথিবী,
কিন্তু দেখলাম— তোর ইনবক্সে গ্যালাক্সি খোলা!
আমায় দিলি লাইক-রিয়্যাক্ট,
আর বাকিদের সাথে ভিডিও কল-চ্যাট।
প্রেমটা নাকি চিরকালীন?
হা হা—এই যুগে প্রেম মানে ৭ দিনের ট্রায়াল প্যাকেজ!

 


রাত বারোটায় বললি— তুই ছাড়া আমি বাঁচবো না!
সকাল ন’টায় দেখি— অন্য কারো ছবিতে লাভ রিয়্যাক্ট 😏
হৃদয়ের গল্প লিখতে লিখতে,
তুই আসলে ফরওয়ার্ড মেসেজ দিছিস—
বুঝলাম প্রেমটা অরিজিনাল না, কপি-পেস্টেড!

 


চোখে চেয়ে বললি— চাঁদ আমার চোখে নেমে আসে।
কিন্তু হায়!
চাঁদকে তো তুই মেসেঞ্জারে একসাথে ৫ জনকে সেন্ড করছিস! 🌚
এমনকি আমি জানি,
তোর কাছে প্রেম মানে—
“একটা হার্ট ইমোজি, তারপর সাথে সাথে ব্যাকআপ প্ল্যান।”

 


তুই লিখছিস কবিতা,
আমি ভাবলাম— আমার জন্য।
কিন্তু পরে দেখি—
ওই লাইনটা আগেই তুই আরো তিনজনকে ট্যাগ দিছিস! 😭
প্রেমের প্রতারণা কি এত সস্তা হলো?
না কি এটাই নতুন সিজনের ট্রেন্ড?

 


তুই বললি— ভালোবাসা একটাই হয়।
তোর স্ট্যাটাস দেখে মনে হলো—
“একটা মেইন একাউন্ট, বাকি সব ফেক আইডি অ্যাডভান্সড ভার্সন।”
তুই যে প্রেম করিস—
সেটা প্রেম না, এটা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং! 😅

 


প্রেমে নাকি মিথ্যে নেই—
এই ডায়ালগ তুই দিলি,
আর আমি হেসে ফেললাম।
কারণ প্রেমের নামে,
তুই প্রতিদিন ফ্রি ওয়াই-ফাই সিগন্যালের মতো
যার হাতে পড়ে, তার সাথে কানেক্টেড! 📶

 

 


রাতের চ্যাটে তুই কাঁদিস—
“আমায় ছেড়ে যাস না প্লিজ।”
সকালে দেখি—
“এক্সক্লুসিভ অফার, বিকাশে ৫০০ পাঠাও!” 💸
এ কোন প্রেম?
এটা প্রেম না ভাই,
এটা অনলাইন স্ক্যামারদের সেরা উদাহরণ!

 


তুই আমাকে বললি— সিনেমার নায়কের মতো দেখাই!
কিন্তু হায়!
একই ডায়ালগ আমি শুনলাম তোর অন্য ফ্রেন্ডলিস্ট ভাইয়ের কাছ থেকে! 🎬
তুই প্রেম করিস না,
তুই শুধু ডাবল-শুটিং করিস—
কোনোদিন ফ্লপ মুভি, কোনোদিন সুপারহিট ড্রামা।

 


প্রেম নাকি নেশা,
আমার কাছে সেটা তুই।
কিন্তু আসলে তুই—
একটা স্পন্সরড রিল,
যেটা একবার দেখলে মজা,
তারপর দেখি— টাকা খরচ না করলে আর দেখাই যাবে না! 😵‍💫

 


তুই যে বললি—
“আমি তোকে ছাড়া কারো সাথে কথা বলিনা।”
আমি মেনে নিলাম।
কিন্তু পরে দেখি—
তোর মেসেঞ্জার গ্রুপ কল, ভয়েস নোট, স্ক্রিনশট কালেকশন
সবই ফুল এক্টিভ।
তুই প্রেমিকা না,
তুই আসলে সোশ্যাল মিডিয়ার পাবলিক প্রপার্টি! 

 

শেষ কথা – কবিতা ক্যাপশন

কবিতা মানুষের জীবন থেকে উঠে আসে, তাই কবিতাকে জীবনমুখী বলা হয়। আমাদের আজকের এই কবিতা ক্যাপশন গুলি তেমনি কিছু জীবনমুখী কথার সমষ্টি। আশা করি আপনাদের এই কবিতা ক্যাপশন গুলি ভালো লেগেছে। তাই, ভালো লাগলে ক্যাপসন গুলি ফেসবুকে পোস্ট করতে ভুলবেন না। শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ! 

 

FAQs – কবিতা ক্যাপশন

কবিতা ক্যাপশন আসলে কী?

এটা এমন বাক্য, যেটা ছবির নিচে লিখলে মনে হয়—ছবিটা কথা বলছে।
কখনও মিষ্টি প্রেম, কখনও বিষাদ, আবার অনেক সময় স্যাটায়ার-ভাইরাল মশলা।

কেন কবিতা ক্যাপশন ব্যবহার করবো?

কারণ সাধারণ ক্যাপশন মানুষ স্ক্রল করে যায়,
কিন্তু ছন্দে বাঁধা শব্দ আটকে রাখে—
যেমন প্রেমে আটকে রাখে প্রতারণার মায়া!

প্রেম নিয়ে ক্যাপশন লিখতে গেলে কীভাবে শুরু করবো?

প্রথমে মিষ্টি লাইন দাও—
“তুই ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার।”
তারপর স্যাটায়ারে ঘা দাও—
“তবুও দেখি তোর মেসেঞ্জার লাস্ট সিন ছিল ভোর ৪ টায়!”

স্যাটায়ার কবিতা ক্যাপশন কেমন হয়?

এমন—
“তুই বললি আমি-ই তোর সূর্য,
কিন্তু আমি দেখি তুই তো সবাইরে দিস সোলার চার্জ।” 

ভাইরাল হওয়ার মতো ক্যাপশন কেমন লিখবো?

সংক্ষিপ্ত, ক্ষুরধার, আর একটু টক-মিষ্টি ব্যথা থাকলেই চলে।
যেমন—
“প্রেমে আমি ডুবলাম ভেবে,
আসলে ডুবছিলাম ফেক আইডির জালে।”

প্রতারণার প্রেম নিয়ে ক্যাপশন কেমন হতে পারে?

উদাহরণ—
“প্রেমের নামে দিলি তুই শপথ,
আর বাস্তবে দিলি শুধু স্ক্রিনশট কালেকশন।” 

 সবচেয়ে পারফেক্ট কবিতা ক্যাপশন কী?

 উত্তর একটাই—
“যেটা পড়ে মানুষ ভাবে—
এই লাইনটা তো একেবারে আমার লাইফের মতো!”

Leave a Comment

Scroll to Top