ছোটদের জন্য একুশের কবিতা ২০২৫, প্রেরণামূলক উক্তি

একুশে ফেব্রুয়ারির দিনকে বাংলা ভাষাকে স্মরণ করে রাখার জন্য বিভিন্ন স্কুল কলেজে ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনুষ্ঠান হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারির দিবস হলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মাতৃভাষা দিবস নিয়ে বিভিন্ন কবিতা রয়েছে। ছোট বাচ্চারা তাদের প্রাইমারি স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক কবিতা বলে থাকে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রত্যেকে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন একুশের কবিতা গুলো খুঁজে থাকে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জন্য একটি মহান দিন। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার জন্য বাঙালিরা আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে ভাষা শ*হীদ, বরকত জব্বার, রফিক সহ আরো অন্যান্য বাঙালি পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে কিছু কবিতা রয়েছে। স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য ছোটদের জন্য একুশের কবিতা দেখতে এই পোষ্টটি পড়তে থাকুন।

ছোটদের জন্য একুশের কবিতা

প্রত্যেক বছরে একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রথম শ*হীদ মিনারে ফুল দিয়ে দিনটি শুরু হয় । ১৯৫৫ সাল বাংলাদেশের ভাষা দিবস শুরু করা হয়। এরপর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্কুল-কলেজে বিভিন্ন ধরনের ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাওয়ার আশায় ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের কবিতা বলে থাকে। আমরা আপনাদের জন্য নতুন বাছাই করা একুশের ছোট বাচ্চাদের কবিতা গুলো উল্লেখ করেছি।

ছোটদের একুশের কবিতা ১

শুভ জন্মদিন মাতৃভূমি,

তোমার মাথা তাজা করব আমি।

একুশের মেলা, গান ও রঙে,

তোমার চোখে ফিরে নি যারে কখনো রঙ।

তোমার স্বপ্নের আকাশ মনে রাখি,

তোমার হৃদয়ে মুক্তির শুভকামনা দাঁড়াই।

তোমার হাসির মধু আমার প্রতিবিম্ব,

আমি চাই তোমার জীবন হোক স্বপ্নময় এবং নতুন আলোয় উজ্জ্বল।

তোমার আঁকা ছবি মনে রাখি সবসময়,

তোমার বাড়ির মিষ্টি বাতাস আমি নিয়ে আসব প্রতিটি দিনের আবেগ।

একুশের প্রিয় ছোটদের, এই মুক্ত জন্মদিনে,

তোমার ভালোবাসা আরো বেড়ে যাক এবং তোমার স্বপ্ন পূরণ হোক সর্বদা জীবনের সম্মানিত পথে।

ছোটদের একুশের কবিতা ২

ছেলে হারা মা কাঁদানো

একুশে ফেব্রুয়ারি

আমি কি তোমায় ভুলিতে পারি।

মমতার কল ছিন্ন করে

চলে গেছো ভাষা শ*হীদদের তরে।

রাখালের মিষ্টি মধুর গান

বাউলের একতারা,

থেমেছিল তারা, হয়েছিল দিশেহারা!!

আবার এসেছে আমাদের মাঝে

নতুন করে একুশে ফেব্রুয়ারি,

আজ ভাষা শ*হীদের মিনারে

ফুলে ফুলে যাওয়া।

ভাষা শ*হীদদের আজকে আমরা স্মরণ করি

জীবনের জয়ের পথ ধরে,

তাদের প্রতি স্মৃতির শ*হীদ মিনার করি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি ছড়া

প্রত্যেকটা ছোট বাচ্চা পড়াশোনা পাশাপাশি ছড়া পছন্দ করে থাকে। কারণ ছোট বাচ্চাদের পড়াশুনার শেখা শুরু হয় ছড়া দিয়ে। বাচ্চাদের হাসিখুশি এবং পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য দিবস গুলোতে স্কুলে অনুষ্ঠান করে থাকে। বাংলাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারি দিবস একটি স্মরণীয় দিন। কারণ আমরা বাংলা ভাষায় ছড়া সকল ভাষা শ*হীদদের জন্যই বলতে পারি। একুশে ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে বিভিন্ন ছড়া রয়েছে। দেখে নিন ছড়া গুলো।

ছড়া

চলনে বলনে বাঙালি বাবু

মুখে ইংরেজি বোলচাল

আটই ফাল্গুনে শীতে বড়ো কাবু

মাথার ভিতরে গোলমাল।

‘একুশে’ ফ্যাকাশে মুখখানা হায়

বাংলায় নেই মন তার

দেশি ভাষা কবে পড়েছিল যেন

সানকিতে পানি ভাত দিন।

শ*হীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে

কেঁপে উঠে যেন বুক তার

‘একুশে’ বানান কারতে দিলেই

লজ্জাতে করে মুখ ভার।

২১ শে ফেব্রুয়ারি কবিতা আবৃত্তি

একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি বাঙ্গালীর আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশে ফেব্রুয়ারির শ*হীদিদের স্মরণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। শিক্ষার্থীরা সে অনুষ্ঠানে তাদের নিজের বানানো ভাষা শ*হীদদের কে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়। কবিতা আবৃত্তি চাইলে শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে এবং কবিতার অর্থ বুঝে সঠিক ভাব প্রকাশ করতে হবে। সকল শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা এই ধারাবাহিকতায় কবিতার আবৃত্তি উল্লেখ করেছি।

কবিতা আবৃত্তি

একুশ মানে আশার আলো

হাসি মুখে জীবন দিলো।

একটি ফুলের জন্য।

একুশ হলো স্বাধীনতার।

বিশ্ব বাসীর মানবতার ।

বাংলা হলো ধন্য ।

একুশ এলো স্মৃতির কথায়।

বাংলা মায়ের বুকের ব্যথায়

শ*হীদ দিবসে গণ্য।

একুশ আসে জীবন থেকে,

মাতৃভাষার মর্যাদা রেখে।

একুশ নয়তো পণ্য।

একুশ ডাকে আপন করে

রফিক, বরকত ভাইকে ধরে

দূর করে শত্রুর অরগ্য

২১ শে ফেব্রুয়ারি ছোট কবিতা

ভাষা শ*হীদদের স্মরণীয় করে বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম সহ আরো অন্যান্য কবিগণ তারা বিভিন্ন শোক প্রকাশে কবিতা লিখেছেন। সে বিখ্যাত কবিতাগুলো বাংলাদেশ প্রত্যেক বছরেই একুশে ফেব্রুয়ারির দিন শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজের অনুষ্ঠানে বলে থাকে। আপনাদের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারীর ছোট বিখ্যাত কবিতাগুলো উল্লেখ করেছি।

ছোট কবিতা

ভাষা সেতো মায়ের বুলি

প্রাণের চেয়েও প্রিয় জানি

যে ভাষাতে প্রাণ জুড়াল

সবার সুখের তৃষ্ণ মিঠালো

সেইতো মোদের মধুর ভাষা

মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা

ভাষা সেতো স্লোগান মুখর যুবকের ভালবাসা

যে ভাষাতে সদা থাকে জাগি

সে ভাষার কোন দশা আজি

তারা মানেনাতো বাঁধা ভঙ্গ করেত ধারা

হায়নার গর্জন লঙ্গিয়ে চলে

হুংকারে হয় ধনি পতি ধনি

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই বাংলা চাই

যে ভাষার লাগি র*ক্ত দিয়াছিলো বাঙ্গালী জাতী

ত্যাগে বেজেছিলো সাম্যের গীতি

পৃথিবীর মানুষ অভাব রয়

বাংলা ভাষার হলো জয়।

শেষ কথা

আমাদের ভাষা আমাদের অস্তিত্বের মূল ভিত্তি, এবং আমাদের সকলের উচিত এটি রক্ষা করা এবং সমৃদ্ধ করা। প্রত্যেক বছর এই দিবস টি ভাষা শ*হীদদের স্মরণ করে রাখতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানে ছোটদের অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের একুশের কবিতা এবং ছড়া উল্লেখ করেছি। আশা করি, এই পোস্টটির মাধ্যমে ছোটদের জন্য একুশের কবিতা, আবৃতি ছড়া, সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Scroll to Top